রচনা লিখুনঃ “একুশে বইমেলা”
বছরের কোনাে এক সময়ে একটি নির্দিষ্ট উপলক্ষে কোনাে স্থানে বইয়ের স্টল সাজিয়ে কিছু দিনের জন্য বই প্রদর্শন এবং বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলে তাকে বইমেলা বলা হয়। আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষে বইমেলার আয়ােজন করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে একুশের বইমেলা বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। বালা একাডেমি একুশে বইমেলা আয়ােজন করে থাকে। সার্বিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৯৮৫ সাল থেকে এই মেলার প্রচলন হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতিকে বাঙালি জাতির মানসে চির জাগরূক করে রাখা এবং জনগণের মাঝে বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যই এই মেলার আয়ােজন। বর্তমানে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে এই মেলার পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে পার্শ্ববর্তী সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিস্তৃত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। সারা দেশ থেকে আসা লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে এই বইমেলা প্রাঙ্গণ। মেলার পরিচ্ছন্ন-সুন্দর, বর্ণোজ্জ্বল স্টলগুলাে সাজানাে থাকে। স্টলগুলােতে শােভা পায় নতুন পাতার গন্ধে মােড়ানাে নতুন নতুন বই। একুশের বইমেলায় প্রতিদিন কোনাে না কোনাে বইয়ের মােড়ক উন্মোচন করা হয়। নতুন বই প্রকাশ উপলক্ষে প্রতিদিনই আয়ােজন করা হয় বিভিন্ন সেমিনার, কবিতা পাঠের আসর, আলােচনা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলাজুড়ে বিরাজ করে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। একুশের বইমেলায় মেলা চত্বরকে বিভিন্ন ভাষাশহিদ যেমন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা কবি-সাহিত্যিকদের নামে ভাগ করা হয়। এই মেলায় শিশু কর্নার’ নামে শিশুদের জন্য আলাদা জায়গা রাখা হয়। সেখানে শিশুদের উপযােগী ছড়া, গল্প ও শিশুতােষ বই রাখা হয়। ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি জুড়ে চলে উৎসবমুখর এই মিলনমেলা। সারাদেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর আগ্রহ নিয়ে বই কিনতে আসে এই মেলায়। মেলা শেষ হলেও দর্শক ও পাঠকের মন থেকে এ মেলার আমেজ সহজে কাটে না। তাই তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে, কখন তাদের মাঝে এ সময়টি আবারও ফিরে আসবে।
দেখিলাম এ কালের আত্মঘাতি মৃঢ় উন্মত্ততা , দেখিনু সর্বাঙ্গে তার বিকৃতির কদর্য বিদ্রুপ । একদিকে স্পর্ধিত ক্রুরতা, মত্ততার নির্লজ্জ হুংকার , অন্যদিকে ভীরুতার , দ্বিধাগ্রস্ত চরণবিক্ষেপ, বক্ষে আলিঙ্গিয়া ধরি । কৃপণের সতর্ক সম্বল-সন্ত্রস্ত প্রাণীর মতাে। ক্ষণিক গর্জন-অন্তে ক্ষীণ স্বরে তখনই জানাই। নিরাপদ নীরব নম্রতা।(সারাংশ লিখুন)
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা: যাদের হৃদয়ে কোনাে প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলােড়ন নেই, পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া। যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি, এখনাে যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয় । মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।(সারাংশ লিখুন)
আমি যে দেখিন তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে কী যন্ত্রণায় মরিছে পাথরে নিস্ফল মাথা কুটে। কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে বাশি সঙ্গীত হারা, অমাবস্যার কারা। লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তরে তাই তাে তােমার শুধুই অশ্রুজলেযাহারা তােমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে। তব আলাে, তুমি কী তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কী বেসেছ ভাল?(সারাংশ লিখুন)
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?